ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা সবাই হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নিহতদের মরদেহ চুনারুঘাট থানা পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। এ সময় বিজিবি, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিহতরা হলেন চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বাসুল্লা এলাকার কনা মিয়ার ছেলে পণ্ডিত মিয়া (৩০), কবিলাসপুর এলাকার কুদ্দুস মিয়ার ছেলে সজল মিয়া (৬০) এবং আলীনগর এলাকার আশ্রব উল্লার ছেলে জুয়েল মিয়া (৪০)।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই থানাধীন কারেঙ্গিছড়া এলাকায়, যা সীমান্ত শূন্যরেখা থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত।
প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সীমান্তবর্তী বিদ্যাবিল এলাকার তিন বাংলাদেশি নাগরিক গত ২-৩ দিন আগে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন। স্থানীয় কিছু ভারতীয় নাগরিক গরু চোর সন্দেহে সঙ্ঘবদ্ধভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন।
নিহত পণ্ডিত মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া বলেন,“মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে তিনজন বিঁড়ি পাতার সংগ্রহে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। সম্ভবত ভুলবশত তারা ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়েন। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় খবর পাই, তাদের মরদেহ ভারতের সাম্পাহার থানায় রয়েছে।”
৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানজিনুল রহমান বলেন,
“ঘটনার সত্যতা যাচাই ও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
নিহতদের মরদেহ আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় দেশে ফেরত আনার পর তাদের স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।