ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা ও অবদানকে সম্মান জানিয়ে এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে হবিগঞ্জ জেলা শাখা একটি নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে।
নবগঠিত এই কমিটির নাম “ছাত্রী বিষয়ক সেল” আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার এবং সদস্য সচিব মাহদী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কলেজ, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এই সেলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছাত্র আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সমস্যা, দাবিদাওয়া ও সংগ্রামের জায়গা থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করা।
উক্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রথম পৃষ্ঠার সদস্যরা হলেন স্বর্ণা কানু পূর্ণতা, সৈয়দা তানজিম শুচি, তানজু আক্তার, সুরাইয়া সামান্তা পুষ্পিতা, উপমা আক্তার মাফিজা, উম্মে জাহান মেঘলা, ফারজানা আক্তার লাবণ্য, ফারজানা ফারজু, খাদিজা আক্তার চৌধুরী, সৈয়দা ফাতিমা তাবাসসুম, মোছাঃ তাছলিমা আক্তার, সানজিদা আক্তার আঁখি, তাহসীন আনজুম, ফারহানা আক্তার তাইবা, হোসনে আরা সীমা, শিরীন চৌধুরী দিপা, ইসরাত জাহান তামসী, আনিকা আক্তার
দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় সদস্যরা হলেন আউলিয়া আক্তার লিপি, উর্মিলা চৌধুরী, তাহসীন আনজুম, তামান্না আক্তার, অলিদা খাতুন, নুসরাত জাহান তারিন, সুমাইয়া চৌধুরী, আক্তাবুন নেছা, পপি আক্তার, মৌসুমী আক্তার বৃষ্টি, শান্তা ইসলাম তারিন, তালুকদার রাফিয়া।
এই কমিটিতে ৩১ জন শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে অনেকে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জ মহিলা কলেজ, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, চুনারুঘাট কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যয়নরত।
দুই পৃষ্ঠার “ছত্রী বিষয়ক সেল” ৩১ সদস্যের কমিটির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আহ্বায়ক আরিফ তালুকদার এবং সদস্য সচিব হিসেবে মাহদী হাসান স্বাক্ষর করেন।
সদস্য সচিব মাহদী বাংলা মিররকে সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হবিগঞ্জ জেলা শাখা এ উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের নেতৃত্বে আনার পাশাপাশি শিক্ষা, সামাজিক ন্যায্যতা ও সাংগঠনিক শক্তিকে আরও সুসংগঠিত করতে চায়। তাই এই ” ছাত্রী বিষয়ক সেল ” ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।