মাধবপুর উপজেলার আউলিয়াবাদ রামকেশব উচ্চ বিদ্যালয়ে গত এক যুগ ধরে অভ্যন্তরীন অডিট করানো হচ্ছে না।এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির কয়েকজন শিক্ষক প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আসাদুজ্জামানকে দায়ী করে প্রায় তিন মাস আগে এর প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেছেন।অভিযোগে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীন অডিট না হওয়ার কারনে বিদ্যালয়ের আয় ব্যয় সম্পর্কে কর্মরত শিক্ষকদের কিছুই জানা নেই।
শিক্ষকেরা এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে বারবার বললেও প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান তাদের কথায় কর্ণপাত না করে নিজের ইচ্ছামত প্রতিষ্টান পরিচালনা করায় বিদ্যালয়ের তহবিলের অর্থ আত্মসাতের আশংকা করছেন সহকারী শিক্ষকেরা।তারা প্রধান শিক্ষকের এমন স্বেচ্ছাচারিতা ও কর্তৃত্ব বহির্ভূত কর্মকান্ডের প্রতিকার দাবি করেছেন।
অভিযোগটি যথাযথভাবে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলামকে দায়িত্ব দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও কল্যান শাখার সহকারী কমিশনার আল নাসরুম বিন আকন স্বাক্ষরিত পত্রে গত ২২ মে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলেও গত ২ মাসেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই বলে স্কুল সূত্রে জানা গেছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ আসাদুজ্জামান কে বক্তব্য নেওয়ার জন্য গত কয়েকদিন একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম জানান, তদন্ত চলমান।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদা নাজমীনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়টি আমার ঠিক জানা নেই।খোঁজখবর নিয়ে বলতে পারবো।’