হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় কোরবানির পশুর চামড়ার আশানুরূপ দাম মেলেনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও দেখা পাওয়া যায়নি মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। পরে কেউ কেউ নামমাত্র মূল্যে চামড়া বিক্রি করেছেন। কেউ বা মাদ্রাসায় দান করেছেন।
এদিকে অন্যান্য বছরগুলোতে ঈদের দিনে এসব কোরবানির পশুর চামড়া কেনার জন্য উপজেলার বামৈ, মোড়াকরি, বুল্লাবাজার সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীদের আনাগোনা দেখা গেলেও কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে। হাতে গুনা কিছু ব্যাবসায়ী থাকলেও খুবই অল্প দামে ক্রয় করছেন চামড়া। তবে কোরবানিদাতারা বলছেন, চামড়া ব্যাবসায়ীদর সিন্ডিকেটের কারনে চামড়ার সঠিক মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না, এসব সেন্ডিকেট ভেঙ্গ দিতে হলে কম মূল্য চামড়া বিক্রি না করে মাটিতে পুঁতে রাখলে এ সেন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া সম্ভব।
জসিম উদ্দিন, জাহিদুল নামে দুই যুবক জানান, ১লক্ষ ২০হাজার টাকা মূল্যের গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০০টাকা, দেড় লক্ষ টাকার পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা, ৮০ হাজার টাকার পশুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০- ১০০ টাকা, তবে ছাগল ভেড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা নিচ্ছে না বলে জানান তারা।
মুড়িয়াউক গ্রামের সোহাগ বলেন, জনৈক চামড়া ব্যাবসায়ী আমাদের ১লক্ষ ১০ হাজার টাকার মুল্যের গরুর চামড়া ৫০ টাকা দাম বলার পর বিক্রি করেনি, মাটিতে পুঁতে রাখার সিন্ধান্ত নিচ্ছি, কম টাকায় চামড়া বিক্রি না করে মাটির নিচে পুঁতে রাখলে চামড়া ব্যাবসায়ীদের সেন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। চামড়ার মূল্য সমপরিমাণ নিজের পকেট থেকে কিছু টাকা দুস্থ অসহায়দের মাঝে বিতরণ করলে ভালো হয়।
বাবুল নামে আরেকজন বলেন, ছোট থেকে দেখে আসছি কোরবানি শেষ হবার পর পর ব্যাবসায়ীরা চামড়া কেনার জন্য বিরজমাট করত। এছাড়া স্থানীয় মসজিদ-মাদরাসা থেকেও চামড়া অনুদান নিতে আসতো। কিন্তু এবার কেউ চামড়া নিতে আসছে না, আসলেও তালবাহানা করে।
চামড়া ব্যবসায়ী খসরু, শফিকসহ কয়েকজন জানান, নির্ধারিত বাড়তি দামে চামড়া বিক্রি করতে না পেরে, কম দামে চামড়া ক্রয় করতে হচ্ছে। এদিকে পরিবহন ও লবণের দাম বেশি তাই কম দামে চামড়া ক্রয় করতে হচ্ছে। এবিষয়ে উপজেলা অতিরিক্তপ্রাপ্ত প্রাণিজ সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সাত্তারের মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ না করাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।