Connect with us

মিরর বিশেষ

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাহীন মৃত্যু

| মৃত্যুর এক ঘণ্টা পরও এলেন না চিকিৎসক

Published

on

| ছবি : মৃত মোঃ আব্দুল মজিদ

হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা না পেয়ে মোঃ আব্দুল মজিদ নামে এক ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে রোগী মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করলেও দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বা নার্স কেউই এগিয়ে আসেননি। মৃত্যুর পরও দীর্ঘ এক ঘণ্টা পর্যন্ত হাসপাতালের কেউ উপস্থিত হননি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার সন্ধ্যা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী মজিদ । দ্রুত সদর  হাসপাতালে নেওয়া হলেও জরুরি বিভাগে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। নার্সদের সহায্য চাইলে কেউ এগিয়ে আসেনি। রোগী কাতরাতে থাকলেও কর্তব্যরত কর্মীরা উদাসীন ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  এক পর্যায়ে প্রায় ৪০ মিনিট পর একটি অক্সিজেনের অকেজো সিলিন্ডার নিয়ে এসে মজিদকে দেয়া হয়। কিন্তু সিলিন্ডারের গ্যাস ছিল না।

পরবর্তীতে এই অক্সিজেনের সিলিন্ডার পরিবর্তন করতে করতেই প্রায় দের ঘন্টা সময় লাগিয়ে দেয়া হয়। ডাক্তার কিংবা নার্স কেউই এগিয়ে আসেনি। একপর্যায়ে চিকিৎসাহীন অবস্থা মৃত্যুবরণ করেন ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ।

মোঃ আব্দুল মজিদ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ধুলিয়াখাল গ্রামের মরহুম আবু মিয়ার পুত্র। মোঃ আব্দুল মজিদ ধুলিয়াখাল পয়েন্টের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছিলেন।

ব্যবসায়ী মজিদের চিকিৎসাহীন মৃত্যু বিষয়ে তার ভাই আব্দুল রহমান কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমরা বারবার সাহায্য চেয়েছি। ডাক্তার ডাকলাম, নার্স ডাকলাম কেউ আসেনি। সন্ধ্যা ৬ টায় নিয়ে আসছিলাম রাত ৯ টা বাজে মৃত্যু ২ ঘন্টা হয়ে গেছে কিন্তু এখনো কোন ডাক্তার আসেনি, নার্স – ওয়ার্ড বয়দের কাছে গেলাম কেই কিছুতেই কর্ণপাত করেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোগীর মৃত্যু হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর একজন নার্স এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ততক্ষণে শোক ও ক্ষোভে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ভিড় জমে যায়।

স্থানীয় এক মহিলা বলেন হাসপাতালে মানুষ আসে বাঁচার আশায়, আর এখানে মৃত্যু হয় অবহেলায় এটা অমানবিক। যদি সরকারি হাসপাতালের এই অবস্থা হয় তাহলে হাসপাতালের কী দরকার।

এ বিষয়ে কথা বলতে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ককে একাধিক বার ফোন দিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Exit mobile version