Connect with us

জাতীয়

সালমান শাহ’র হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি অভিনেতা ডন

Published

on

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহের রহস্যজনক মৃত্যুর প্রায় তিন দশক পর নতুন মোড় নিলো ঘটনাটি। আদালতের নির্দেশে অপমৃত্যু মামলাটি এবার হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি করেন সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম।


মামলায় সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ মোট ১১ জন। এজাহারে আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামও উল্লেখ করা হয়েছে।


এই মামলার ৪ নম্বর আসামি হলেন অভিনেতা ডন। 

রেজভির জবান বন্দি থেকে জানা যায়, চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডে ডন জড়িত ছিলেন। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় সালমান শাহকে। চাঞ্চল্যকর সালমান শাহর মামলায় বরারব ডন নিজেকে নির্দোশ দাবি করে  আসছিলেন। ডনের বিভিন্ন সাক্ষাতকারে থেকে জানা যায় তিনি সালমান শাহের মৃত্যুর দিন ঢাকায় ছিলেন না।

শুধু তাই নয়, সালমানকে বন্ধু দাবি করে ডন বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছিলেন, সালমান তার হার্ট, ও চলে যাওয়াতে সবচেয়ে কষ্ট হয়েছে তার। অন্যদিকে সালমান ভক্তরদের দাবি, ডনের সহযোগিতায় সালমানকে হত্যা করা হয়েছে, তাকে আইনের আওতায় দ্রুত নিয়ে এসে সত্য উন্মোচন হবে। 

সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যু মামলার পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন এবং এটিকে হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন। আদালতের এই আদেশের পরই সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই রমনা থানায় হত্যা মামলাটি করেন। আদালত রমনা মডেল থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
 

মামলা দায়েরের পর বাদীপক্ষের আইনজীবী ও স্বজনরা জানান, তারা দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে আসছিলেন। পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দিলেও, তার পরিবার তা মানতে নারাজ ছিলেন।

সালমান শাহের মামা আলমগীর কুমকুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সালমান শাহর বাবা একজন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। উনি অনেক চেষ্টা করেছেন অপমৃত্যুকে হত্যা মামলায় রূপান্তর করতে। চেষ্টা করতে করতে উনিও দুনিয়া থেকে চলে গেলেন। এখন এতদিন পর এটা হয়েছে। ইনশাআল্লাহ প্রমাণ হবে এটা হত্যা।’


উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার অকালমৃত্যু নিয়ে তৈরি হওয়া রহস্যের জট এবার হত্যা মামলার তদন্তের মাধ্যমে খুলবে কি না, সেদিকেই তাকিয়ে আছে পুরো দেশবাসী।

স্বত্ব © ২০২৫ বাংলা মিরর | সম্পাদক : মোঃ খায়রুল ইসলাম সাব্বির