হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার চা বাগান ও বিভিন্ন ছড়া থেকে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন করে পাচার করছে একটি চক্র। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের পাশে অবৈধ বালুর ডিপো তৈরি করে এসব বালু দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে যুবদল নেতা তাবিজ ফারুক নেতৃত্বে একটি চক্র। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার করে বালু মাফিয়া চক্রটি অল্প দিনে হয়ে উঠেছে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। এতে করে একদিকে যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অপরদিকে চা বাগানের পরিবেশ-প্রতিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে বাহুবল উপজেলার হাফিজপুর ও ঢাকা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব জয়পুর, নতুন বাজার এবং কামাইছড়া এলাকায় অন্তত ৫ টি স্থানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে বালু। কোন কোন স্থানে এক্সাভেটর দিয়ে বালু লোড করা হচ্ছে বড় ট্রাকে। মহাসড়কের পাশে এসব বালুর স্তুপের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব বালু বাহুবল উপজেলার রশিদপুর চা বাগানের কামাইছড়া, দেওছড়া, দারাগাও ও মধুপুর চা বাগানের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে রাতের আধারে ট্রাক্টর যোগে এনে মহাসড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে রাতে ও দিনে বড় ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। আর এসব বালু পাচার কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাহুবল উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের ওমর ফারুক আসাদ ওরফে তাবিজ ফারুক এক ব্যক্তি। সে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালুর ডিপু তৈরি করে প্রশাসনের নাকের ডগায় ব্যবসা চালিয়ে গেলেও নেওয়া হচ্ছে কোন ব্যবস্থা । এনিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অবৈধ বালু উত্তোলনকারী জানান, তাদের উত্তোলন করা বালু অন্যত্র বিক্রি করতে দেন না তাবিজ ফারুক। সে ১৩শ টাকা করে প্রতি ট্রাক্টর বালু কিনে নিয়ে উচ্চ মুল্যে বাহিরে বিক্রি করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দলীয় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগও করেন তারা।
অবৈধ বালুর ডিপুর মালিক ওমর ফারুক আসাদ ওরফে তাবিজ ফারুকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মৌলভীবাজার জেলা থেকে বালু এনে বিভিন্ন কোম্পানিতে বিক্রি করেন বলে দাবী করেন। ডিপুর অনুমোদন আছে কি না? এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি তিনি।
এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, আমরা অবৈধ বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। যারা অবৈধভাবে বালুর ডিপু পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।