মানুষ যে সৃষ্টির সেরা জীব, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ নানা রহস্যে ঘেরা। প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন রহস্যে ডুবে থাকি। প্রতিটি মানুষ নিজস্ব এবং তাদের পারিপার্শ্বিক মানুষের নানা ধরনের কার্যক্রমে প্রায় আশ্চর্য হয়ে যায়।
খুবই লক্ষনীয় যে, একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু যখন প্রিয় মানুষটি মারা যায় তখন তার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই মিলে তাকে এত জোরে পা দিয়ে মাটি চাপা দেয়। যেন কোন কারনে মৃত ব্যক্তিটি ফিরে আসতে না পারে। এটা হচ্ছে ভালোবাসার নমুনা!
সমাজে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে, অনেক মানুষ আছে যাদের অনেক সম্পত্তি আছে কিংবা বাড়িঘর আছে! অতিরিক্ত! থাকার মানুষ নাই। অনেক বড় বাড়িতে একা থাকতে ভয় পায়। কিসের ভয়? পেত্নী! ভূত! আবার ঠিক একই সমাজে দেখবেন! বহু মানুষ আছে যাদের নিজের থাকার জায়গা টুকুই নেই। তাদের আবার ভূত পেত্নীর ভয় নাই। তারা যেখানে সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আমাদের অদ্ভুত এই সমাজে রহস্যের যেন শেষ নেই!
আপনি যাকে খুবই অপছন্দ করবেন বা যাকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবেন। দেখবেন কোনো না কোনোভাবেই তার ছায়া আপনাকে ঘিরে আছে। তাই চাইলেই অনেক কিছু এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে মানুষ বড়ই রহস্যময়! তাদের নিজের রহস্য নিজেদের কাছেই অজানা। নিজেরাই নিজেকে চিনি না।বেশিরভাগ মানুষই তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবগত নয়। জেনেটিক ভাবে আমাদের এশিয়া মহাদেশের মানুষগুলো যেন অন্যমহাদেশের তুলনায় একটু বেশিই স্বার্থপর, লোভী হিংসুটে টাইপের। জানিনা এটা কি কোন সত্যিকারের জেনেটিক সমস্যা? নাকি অভিশপ্ত জাতি? যে জাতি অন্যের ভালো কখনোই সহ্য করতে পারে না। অন্যের ক্ষতি করার জন্য যা যা করতে হয় সবই করবে। অথচ চাইলে ওই সময়টুকু নিজের জন্য ব্যয় করে নিজের ভাগ্যকে বদলে দিতে পারত।
তারপরও সুখের বিষয় হচ্ছে বর্তমান জেনারেশন এবং শিক্ষিত সমাজ যারা অন্য মহাদেশ অথবা পড়ালেখায়, শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত, স্মার্ট সারা পৃথিবীর খবর রাখে। তাদের মধ্যে ঐ প্রবণতাটা কমতে শুরু করেছে এবং তারা তাদের জেনারেশনকে সেভাবেই গড়ে তুলছে। হয়তো সময় লাগবে!তবে অসম্ভব নয়! যে আমরা নিশ্চয়ই একটি শক্তিশালী জাতি পাব।যে জাতি একে অপরকে ভালবাসবে সাহায্য সহযোগিতা করবে। হিংসা করবে না