সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নেতুর নিচ থেকে বালু লুটের প্রতিবাদ ও সেতু রক্ষার আন্দোলন করায় কোম্পানীগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. আলমগীর আলমকে গ্রেপ্তার ক রা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
আলমগীর সাদাপাথর লুটের সাথে জড়িত নয় বলেও দাবি পরিবারের।
শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলে রায়হান আলম বলেন, এই চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন ধরে সাদাপাথর ও ধলাই সেতু রক্ষায় জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় দীর্ঘতম এম সাইফুর রহমান সেতু মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়লেও, তা বন্ধে বারবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। এ সংক্রান্তে তিনি জেলা প্রশাসক ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর স্মারকলিপিও দেন।
তিনি বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী লুটেরা চক্রের বিরাগভাজন হয়ে ওঠেন। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন খনিজ সম্পদে লুটেরাদের চোখ পড়ে। এ সময় আলমগীর আলম সেনাবাহিনীর সহায়তায় এলাকাবাসীকে নিয়ে লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। ফলে লুটেরা চক্র তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হয়।
বালু-পাথর চুরির মামলায় বৃহস্পতিবার ভোরে আলমগীর আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আলমগীর আলম পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান । তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। পাশাপাশি সাদাপাথর এলাকা সংযোগকৃত ধলাই রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক।
শনিবার সংবাদ সম্মেলনে আলমগীরের ছেলে রায়হান আলম জানান, ২০১৪ সালে বিগত সরকারের দায়েরকৃৃত একটি মিথ্যা মামলায় তার বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শিপলু কুমার দে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় অভিযোগ আনা হয়, পিয়াইন নদীর জুগনির খাল থেকে হাজী হাছন আলী স্কুল পর্যন্ত এলাকা থেকে ২০-২৫টি লিস্টার মেশিন চুরি হয়েছে। অথচ এ ঘটনায় তার বাবার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ নেই।
পরিবারের অভিযোগ, কিছু গণমাধ্যমে আলমগীর আলমকে ‘সাদাপাথর লুট মামলায় গ্রেপ্তার’ হিসেবে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব। তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে আলমগীর আলম কখনো লুটপাটে জড়িত ছিলেন না, বরং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় তিনি ছিলেন অগ্রণী কণ্ঠস্বর।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ায় ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রকৃত ঘটনা যাচাই করতে সাংবাদিকদের প্রতি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানানো হয়।