Connect with us

দূর্নীতি

বনের সর্বনাশ করছেন বন কর্মকর্তা

Published

on

হবিগঞ্জের রঘুনন্দন রেঞ্জের অন্তর্গত জগদীশপুর বিট কাম চেকস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কাদিরের বিরুদ্ধে বনের গাছ বিক্রি, স্ট্রিপ বাগানের টাকা লুপাট ও সরকারি নার্সারির চারা বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ সহ নানান অভিযোগ উঠেছে।


জানা যায়, জগদীশপুর বিটে যোগদানের পর থেকেই চোরা কারবারিদের সাথে আতাত করে বিটের অন্তর্গত বন থেকে সেগুন, গর্জন, চাপালিশের মত মূল্যবান গাছ বিক্রি করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কর্মকর্তা। সুফল প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে  (এএনআর) বাগানের বিপরীতে আসা ৬ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।

এছাড়াও এনরিচমেন্ট ও বেত  বাগানের জন্য আসা মেইন্টিন্যান্স খরচ ও পাহারাদারের অর্থ বিতরণ না করে নিজেই আত্মসাৎ করেন। একই সাথে সরকারি খরচে হবিগঞ্জ নার্সারিতে ৫২ হাজার চারা উৎপাদন করে ৩০ হাজার ছাড়া বিক্রি করলেও মাত্র ১৫ শ চারার মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বাকি ৬ লক্ষ  টাকা আত্মসাৎ করেছেন ।

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে অল্পদিনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছেন ফরেস্টার গোলাম কাদির। বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাছ বিক্রি সহ নানান বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দায়ের হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জগদীশপুর চেক স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার। ফলে বনজ দ্রব্য পরীক্ষণের নামে গাড়ি আটকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন নিয়মিত।

এছাড়াও রেমা-কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনের গাছসহ সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন বিটের গাছ পাচারকারী গাড়ি পাস দিয়ে চেক স্টেশন থেকে আয়ের একটি অংশ প্রতিমাসেই বিভাগীয় কর্মকর্তাকে দেন তিনি। পুরস্কার স্বরূপ চেক স্টেশনে এক বছরের বেশি দায়িত্ব পালনের সুযোগ না থাকলেও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির তাকে দেড় বছর ধরে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন।


অভিযোগের বিষয়ে ফরেস্টার গোলাম কাদেরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

For Any Inquiry

dailybanglamirror@gmail.com
Exit mobile version