শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ইজারার নামে সরকারি রাজস্ব উত্তোলন করে লোপাটের অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাসের বিরুদ্ধে।
আত্মসাৎকৃত অর্থের তথ্য দিতে শুরু করেছেন লুকোচুরি। টাকা আত্মসাৎ এর দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপও।
জানা যায়, ১৪৩২ বাংলা সনের জন্য পৌরসভার পণ্য উঠানামা টোল আদায়ের জন্য ৯ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা দিয়ে ইয়াসিন খান নামে এক ব্যক্তিকে ইজারা দেন প্রশাসক পল্লব হোম দাস।
কিন্তু তিনি সেই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের পায়তারা করেন। অপরদিকে ইজারাদার ইয়াসিন খান টোলের নামে শুরু করেন চাঁদাবাজি।
চাঁদাবাজির অভিযোগে সেনাবাহিনী ইয়াসিন খান ও তার লোকজনকে আটক করে ইজারা বাতিল করার নির্দেশনা দেয়। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে পল্লব হোম দাস ইজারা বাতিল করে দেন।
এসময় সরকারি কোষাগারে মাত্র ২ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা জমা দেন। বাকি ৭ লক্ষ টাকা কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের পায়তারা করে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার একজন কর্মচারী জানান, পল্লব হোম দাস ইজারাদার ইয়াসিন খানের সাথে সমন্বয় করে ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাতের পায়তারা করেন।
এ নিয়ে সমালোচনা দেখা দিলে ইয়াসিন খানের হাত থেকে সাত লক্ষ টাকার বিপরীতে ব্যাংক চেক নেন। পরবর্তীতে সেই চেক ডিজঅনার হলেও টাকা আদায়ের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ইয়াসিন খানের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করে তাকে বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
এতে করে মোটা অংকের সরকারি রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা। একই সাথে ২ লক্ষ টাকায় দাউদনগর বাজারের একটি সরকারি শেড বিক্রি করে মাত্র ২০ হাজার টাকা কোষাগারে জমা দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব হোম দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,যেকোনো তথ্য পেতে ” তথ্য অধিকার আইন-২০০৯” অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
পৌরসভার রাজস্ব লোপাটের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে দুদকের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।