চোরাই জ্বালানী কাঠ বোঝাই গাড়ি আটকের পর উৎকোচ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শায়েস্তাগঞ্জ বনজদ্রব্য পরীক্ষণ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিবাংকর রায়ের বিরুদ্ধে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯ টায় বাহুবল উপজেলার লালটিলা এলাকা থেকে চোরাই জ্বালানি কাঠ ভর্তি একটি পিকআপ আটক করে শায়েস্তাগঞ্জ চেক স্টেশনে নিয়ে আসেন দিবাংকর রায়। পরবর্তীতে জ্বালানি কাঠ ও গাড়ির মালিক শাহজাহান মিয়াকে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন তিনি। পরে বুধবার সকালে শায়েস্তাগঞ্জ রেঞ্জ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীর মধ্যস্থতায় উৎকোচ দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নেন শাহজাহান মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা নজরুল ইসলাম জানান, দিবাংকর রায়ের কর্মস্থল শায়েস্তাগঞ্জ চেক স্টেশন হলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাহুবল উপজেলা থেকে সাদা পোশাকে গিয়ে অবৈধ জ্বালানী কাঠ বোঝাই পিকআপটি (ঢাকা মেট্রো ব ১৩-৭২৪৩) আটক করেন।
আটকৃত গাড়িটি ভিট অফিস কিংবা রেঞ্জ অফিসে না নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ চেক স্টেশনের পাশে সড়কে সারারাত আটকে রাখেন। পরবর্তীতে দুপুর ১২ টার দিকে গাড়িটি ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে গাড়ির মালিক শাহজাহান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গাড়ি আটক ও ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও উৎকোচ দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ চেক স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিবাংকর রায়ের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এগুলো গ্রামীন গাছের কাঠ ছিলো তাই ছেড়ে দিয়েছি। এ সময় সাথে সাথে না ছেড়ে একদিন পরে কেন ছাড়লেন? এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি তিনি ।
একই বিষয় হবিগঞ্জ জেলার সহকারী বন সংরক্ষক তারেক রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত না, খোঁজ নিয়ে দেখছি।