জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ (২৩-২৯ মে) এবং বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস (২৮ মে) উপলক্ষে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী সচেতনতামূলক আয়োজন “কিশোরী কথন: আমার আমি”, যেখানে কিশোরীদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা ও কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
জহুর চাঁন বিবি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব, হবিগঞ্জ। অনুষ্ঠানটিতে সহযোগিতা করে SMC (Social Marketing Company), SUN Youth Network Bangladesh এবং পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক কিশোরী শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের উদ্দেশ্যে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য, মাসিককালীন পরিচ্ছন্নতা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, আয়রনের প্রয়োজনীয়তা এবং আত্মবিশ্বাস গঠনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন উপস্থিত পুষ্টিবিদ, চিকিৎসক এবং পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লব হোম দাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শায়েস্তাগঞ্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জহুর চাঁন বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, শায়েস্তাগঞ্জ মডেল থানার এসআই জহিরুল ইসলাম, এবং প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুর রাকিব।
অনুষ্ঠানে ইন্টারেক্টিভ সেশন পরিচালনা করেন জয়া রানী মণ্ডল, ইয়ুথ লিডার, GAIN ও SUN Youth Network।
বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রেবেকা সুলতানা, ডায়েটিশিয়ান, SIBL Foundation; সাধারণ সম্পাদক, পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন, কাজী হামিদা বানু বর্ষা, কোষাধ্যক্ষ, পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন, তাপস দেব রাহুল, ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট, ওয়েসিস হাসপাতাল, সিলেট, দীপেন মহাজন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার, ইউনাইটেড ফর্টিফিকেশন ইন্ডাস্ট্রিজ, নার্গিস সুলতানা মিতু, ইন্টার্ন নিউট্রিশনিস্ট, পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন।
পুরো অনুষ্ঠানটি তত্ত্বাবধান করেন উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মোশাহিদ মজুমদার ও ইসলামিক স্কলার আল-আমিন সাঈফী, লিডার গাঁও গঞ্জে পুষ্টি টিম।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো হলে, জহুর চাঁন বিবি মহিলা কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমি এন্ড হাই স্কুল, শায়েস্তাগঞ্জ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ আইডিয়াল স্কুল, শায়েস্তাগঞ্জ গার্লস স্কুল, শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ হাই স্কুল।
আয়োজকরা জানান, “কিশোরী কথন: আমার আমি” শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান নয়, এটি ছিল কিশোরীদের জন্য একটি সচেতনতা ও আত্মবিকাশের মঞ্চ। তারা আশা প্রকাশ করেন, এই আয়োজন কিশোরীদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন উদ্যোগ নেওয়া হবে।